Friday 2 March 2012

জুবিন ঘোষ


দেবলীনা ও অপূর্ব মাছ
              
মীনরাশি স্নানের শব্দে বাসন ভাঙে
বাটনাবাটা চুল মঙ্গলাদিঘির কবলিত আঁচলা জল
কলকলিয়ে অনাঘ্রাতা ড্রেসিং-আয়নায় ঢেউ স্বভাবে
দ্বিধাবিভক্তময় মাছধরা শাড়ি , তুমি-আমি জাল পাততেই
তোমার গোপন মৈনাকটিতে সেইমাত্র একটা জীবন্ত মাছ
টুপ করে খসে পড়তে দেখি মাছটি খাবি খায়
মাছটি তুলে আনি আসীম পেয়েছি ভেবে
মুড়োয় মুখ দিয়ে হাওয়া দি তাতে , আরও বাতাস আরও ফুলকা আয়ু
বাতাস তাকে নিজের মতো ছেঁড়ে ;
ছিঁড়তে ছিঁড়তে কানামাছি , ল্যাজ ফোলাই বিড়ালির চোখে
ততই মাছ আমায় নিয়ে যায় প্লাবনের মুখে
প্লাবনের মুখে মৎস্য অবতার থাকেন , প্লাবনের মুখে যত সর্বনাশ
হে আল্লা , আপনাকে ঈশ্বরী বলে ভ্রম হয়
সেই ভ্রমে রোজ পয়সা জমাই ঘটে , স্বপ্নে লক্ষ্মীমন্ত
একটা মাছ , অপেক্ষা করে বাজারের থলি
ল্যাজ ফুলিয়ে চেটেপুটে খেয়ে ফেলি বাকি ভাতগুলো
অস্থির হয়ো না দেবলীনা, দেবঘটে জল দাও, ঘটে ভক্তিভৈক্ষ্য কনকচূড় -
ঘটে আস্ত একটা পুকুর পুষেছি সেই ভেবে -
রাখলেই দেখো , পয়সাগুলোয় কেমন অনাবিল আঁশটে গন্ধ থালায়
ভুরভুর কিছু আনন্দমাছ লাফিয়ে জড়িয়ে ধরে তোমায় অপরূপ

প্রতিদিন একটা মাছের চোখ ভাসতে দেখি ডালে
প্রতিদিন সান্তনা দিতে আসে একটা অপূর্ব মাছ