Friday 2 March 2012

সম্পাদকীয়


ক্ষেপচুরিয়াস ইচ্ছেবাড়ী - আঁতুড়ের জল ...
অবশেষে সময় হল ক্ষেপচুরিয়াস ইচ্ছেবাড়ীর দ্বিতীয় দফার দেওয়াল লিখনেরতবে কি প্রথমবারের সেই লিখন চিহ্ন মুছে দেওয়া হল?  আদপেই নয়! এক্ষেত্রে আমি শক্তিবাবুর পরবর্তি লাইনগুলি কাউন্টার করছি -
মায়াবী ঐ আলোয় ওড়ে মায়া রঙের ফানুস
যে জন ছিলো গোঁড়ায় তাকে পুঁড়িয়ে মারে মানুষ...
আর যারা সব পথিক শুধু তার পিছনে চলে
মানুষ এসে ছোঁ মারে সেই একমুঠি সম্বলে!
পয়লা লিখনে প্রোথিত হয়েছিল যে ইচ্ছের বীজ, মধ্যের এ কদিনের নীরব অপেক্ষায়, তা নিবিড়ে গড়েছে ভিত মাটির গভীরে। অল্প অল্প করে প্রয়াস জমেছে তাতে, অনাদায়ী তৃষিত কিছু বাষ্প জমেছে... বুঝি এভাবেই ধারণা পায় - অবয়বে চলে আসে আঁতুড়ের জল! বুঝিবা মৃদুলয়ে স্পন্দিত জীবনে নিশ্চিত সবুজের উন্মেষ ঘটেছে...
ক্ষেপচুরিয়াস ইচ্ছেবাড়ী বড় কঠিন মায়ায় বেঁধেছে আমাদের! বড় অকাতর পুড়িয়ে পুড়িয়ে শিখিয়েছে আত্মরতি! বলেছে নিজস্ব হও - ভিন্ন হও - বলেছে উপশমের বৃত্তে ব্যাধীরও ঈর্ষা জোটে অদৃষ্টে কখনো সখনো! আমরাও তাই, আর পাঁচটা বসতের মত, আলাদা রাখিনি কোন লুডোছক গেরস্ত বাগান। বরঞ্চ চৌদিকে আগাছায় অবিদিত, প্রকৃত নিবিড়ে আজ অরণ্য এসেছে। ইচ্ছেবাড়ীর এই বিবিক্ত দালানে আমরাও ডাক দিই ভাতৃত্বের আজ... 
বলি, থাক সৌন্দর্য - পড়ে থাক অপরূপ আপন বৃত্তে আজ উৎসবও থাক। সূর্যোদয় নির্বিশেষে বরং সঙ্ঘ গড়ে উঠুক - রাতের অন্ধকারেও নিশ্চিত খুঁজে নেবো উজ্জীবনের বীজ - সময় আসবে যাবে - অকাতর রয়ে যাবে জীবন সখ্যতা!
আজ ৩০ টি কবিতা এবং সমগোত্রীয় কিছু লেখা তুলে দিলাম শোধনাতীত এই ইচ্ছের দেওয়ালেসবাইকে অনুরোধ করবো, সমৃদ্ধ করুন এসে দেওয়ালে আলেখ্য - অথবা নস্যাৎ করুন, দেয়ালা আমাদের - এই দ্বিতীয় মুরাল!     
                                  -*-