Monday 20 February 2012

বিধান সাহা


রমণী-কীর্তন   

১.
শূন্যে উঠি শূন্যে ভাসি শূন্যে করি বাস
শূন্য এ পুরাণ পাত্রে হলো অধিবাস
দশাঙ্গুলে অধিবিদ্যা পঞ্চবটী বনে
প্রেমের মুরতি মনে হলো এই ক্ষণে
শব্দে শব্দে গদ্য করি পদ্যে তাকে পাই
এ ঘরে শূন্য চাতাল নাই কেহ নাই
নজর খুলেছে আজ মস্তিস্কে বিভ্রম
হৃদিমধ্যে রাধাচূঁড়া মৃত্যু উপক্রম
সংসারে সারথী নাই কুয়াশা-কাঞ্চন
রমনী-কির্তন করি শোন বন্ধুজন।

২.
বৈদ্য ডাকি বৈদ্য ডাকি অসুস্থ ভীষণ
প্রণয় পীড়ায় মরি হয়না মরণ
কাহ্নপা লুইপা নয় এ বিধান-ই জানে
নর অঙ্গে নারী স্পর্শ তার কিবা মানে
আহা কি অমিয় সুধা বিভঙ্গে তাহার
চটুল কবিতা যেন কথার বাহার
চতুরঙ্গে বিভাবরী হৃদয়ে সংঘাত
ষড়রিপু নৃত্য করে করিল বেজাত
বিশ্বস্ত হাওয়ার মুখে শুনে এই বানী
দশদিকে কানকথা হলো জানাজানি।