Monday 20 February 2012

রুদ্র হক


আগন্তুক ভূত

নদীতে বিষ ঢেলে দাও
 
বিষে নীল হয়ে গেলে নদী, স্নানে যাবোসূর্যোমন্ত্রে শরীর ভাসাবো জলেহেসে খেলে মরে যাবো তারপর.. হলুদাভ বিকেলের সোনালু ফুল হয়ে যাবোঅথবা সামর্থবান গাছ- অর্জুণ নয় গর্জণ হবোতার কাঠে নৌকো বানিয়ে আমাকে নদীতে নিয়ে যাবে মাঝিফের জলের ভেতর প্রান মিশে যাবেএকবার নদী হয়ে গেলে পর স্নানরত নারীদের সাথে তীরে তীরে মিশে যাবোযোনিমূলে ছলকে দেবো ঘা.. জোনাকীর টিমটিমে আলো নিয়ে শিকারীর চোখ-দস্যুর চোখ তাড়িয়ে ফিরবে মাছ- ধনীদের গাঁ!তাদের হাত ধরে একদিন নদী ছেড়ে চলে যাবো..ধরো, কিশোরীর নাক থেকে স্বর্ণের ফুল কেড়ে নিতে গেলে কি হবে মিলালে আর কিশোরীর দেহেমন নিয়ে যাবো তার পাটক্ষেতে- যুবকের সাথে- যুবকে মিলাবোযুবকের হাত ধরে একে একে তারপর কিশোরীর চোখ শহরে কি গ্রামে- প্লাবনে কি ঝড়ে মিশে যাবেধরো, যুবকের হাত ধরে সীমান্ত ঘুঁচে গেল পৃথিবীর বুকেপরিব্রাজক পা প্রসারিত হলো ফুলে ফুলে ঘ্রান গাঢ় হলো আরোরাজা-রাণী হয়ে গেলো যুবক কিশোরী..!
 
গর্জণ কাঠে ফের ভেসে গেলো তরী..